Colour বা রঙ
রঙ হলো মানুষের দর্শন-সংক্রান্ত একটি চিরন্তন ধর্ম। আলোর বর্ণালি থেকে রঙ উৎপত্তি লাভ করে। বিজ্ঞানী নিওটন সর্বপ্রথম রঙ প্রর্যবেক্ষণ করেন।
প্রাইমারী কালার বা প্রাথমিক রঙঃ
প্রাথমিক রঙ তিনটি-Red, Yellow, Blue বা লাল, হলুদ, নীল। এই তিনটি রঙকে প্রাইমারী বা প্রাথমিক রঙ বলা হয়। কারণ অন্য কোন রঙ দিয়ে এই তিনটি রঙ তৈরি করা যায়না এবং এই তিনটি রঙ ভেঙেও অন্য কোন রঙ পাওয়া যায়না বরং এই তিনটি রঙ মিলেই অন্যান্য সকল রঙ তৈরি হয়।
প্রাথমিক রঙ থেকে আমরা আবার দুই ধরনের রঙ পাই।
১। মৌলিক রঙ
২। যৌগিক রঙ
মৌলিক রঙ: মৌলিক রঙ তিনটি-Red, Yellow, Blue বা লাল, হলুদ, নীল।
যৌগিক রঙ: প্রাথমিক রঙ তিনটি মিলে অন্যান্য যে সকল রঙ তৈরি হয়, সেগুলোকে যৌগিক রঙ বলা হয়। যৌগিক রঙ আবার প্রাথমিক ভাবে দুই প্রকার!
১। সেকেন্ডারি
২। টারশিয়ারি
সেকেন্ডারি কালারঃ মৌলিক তিনটি রঙ মিলে যে রঙ গুলো তৈরি হয় সেগুলোকে সেকেন্ডারি কালার বলা হয়। সেকেন্ডারি কালার তিনটি-
- Orange
- Violet
- Green
টারশিয়ারি কালারঃ মৌলিক ও সেকেন্ডারি কালার মিলে যে রঙ গুলো তৈরি হয় সেগুলোকে টারশিয়ারি কালার বলা হয়। টারশিয়ারি কালার ছয়টি-
- Magenta (Red-violet)
- Vermilion (Red-orange)
- Amber (Yellow-orange)
- Chartreuse (Yellow-green)
- Teal (Blue-green)
- Purple (Blue-violet)
নিউট্রাল কালার বা নিরপেক্ষ রঙঃ
সাদা ও কালো রঙকে সাধারণত নিরপেক্ষ রঙ বলা হয়। শুধুমাত্র সাদা ও কালো রঙ-ই নিরপেক্ষ রঙ না। সাদা ও কালো রঙ মিলে যত রঙ তৈরি হয় সবই নিরপেক্ষ রঙ অর্থাৎ সাদা ও কালো রঙের সকল গ্রেডই নিরপেক্ষ রঙ।
নিরপেক্ষ রঙের নমুনা
উল্লেখ্যঃ কালো রঙ আসলে কোন রঙ না। যেখানে কোন রঙ নেই সেখানেই কালো দেখায়। আর সাদা রঙের ভেতরে সব রঙ-ই রয়েছে।
রঙের ধর্ম অনুযায়ী রঙকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- Warm Color (উষ্ণ রঙ) যেমন-
Red, Magenta, Orange, Amber,
Gold, Yellow
- Cool Color (শীতল রঙ) যেমন-
Chartreuse, Green, Teal, Blue,
Purple, Violet
ব্যবহারিক দিক থেকে রঙকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
- RYB (Red, Yellow, Blue)
- RGB (Red, Green, Blue)
- CMYK (Cyan, Magenta, Yellow, Key (Black))
- RYB (Red, Yellow, Blue)
আমরা দৈনন্দিন জীবনে চিত্রাঙ্কন বা অন্যান্য কাজে যে সকল রঙ ব্যাবহার করে থাকি সেগুলো RYB (Red, Yellow, Blue) বা প্রাথমিক রঙের প্রক্রিয়ায় ব্যবহূত হয়ে থাকে।
- RGB (Red, Green, Blue)
RGB সাধারণত কম্পিউটার বা যাবতীয় ডিভাইসে ব্যবহূত হয়ে থাকে।
- CMYK (Cyan, Magenta, Yellow, Key (Black))
CMYK শুধুমাত্র প্রিন্ট এর ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়ে থাকে।
Rainbow বা রঙধনু বা রামধনুঃ
Rainbow বা রঙধনুর সাতটি রঙ রয়েছে। এই সাতটিকে সংক্ষেপে VIBGYOR বা বেনিয়াসহকলা বলা হয়। সাতটি রঙ নিম্নরূপ-
Violet, Indigo, Blue, Green, Yellow, Orange, Red
বেগুনী (violet), নীল (indigo), আসমানী (blue), সবুজ (green), হলুদ (yellow), কমলা (orange) ও লাল (red)
বিভিন্ন রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কঃ
কনট্রাস্ট কালার বা পরিপূরক রঙঃ
কনট্রাস্ট কালার পরিপূরক রঙ হলো এক জোড়া রঙ যাদের একত্র করলে একটি অপরটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ রঙদুটো মেশালে তা সাদা বা কালো বর্ণ ধারণ করে। এগুলোকে একটি অপরটির বিপরীত রঙ ও বলা হয়। এগুলো একটির সাথে অপরটি মেশালে রঙটি আস্তে আস্তে ডার্ক হতে থাকবে, আরো বেশী মেশালে এক পর্যায়ে বর্ণহীন হয়ে যাবে। নিচে তিনটি পরিপূরক রঙের নমুনা দেওয়া হলো-
Red-Green
Yellow-Violet
Blue-Orange
এগুলো একটি অপরটির কনট্রাস্ট কালার
বা পরিপূরক রঙ।
বিভিন্ন রঙের আলোতে বিভিন্ন রঙের বস্তুঃ
কোন বস্তুর ওপর আলো পড়ার পর বস্তুতি কিছু আলো শোষণ করে বাকি যে আলো প্রতিফলিত করে আমরা বস্তুটিকে সেই রঙের দেখি। সাদা আলোর ভেতরে যেহেতু সব রঙ আছে, সেহেতু সাদা আলো যদি একটি আপেলের ওপর পড়ে, আপেলটি সব আলো শোষণ করে লাল আলো ফিরিয়ে দেয়। তাই আমরা আপেলকে লাল রঙের দেখি।
কিন্তু সবুজ আলো যদি আপেলের ওপর পড়ে তাহলে আমরা আপেলকে কালো দেখবো। এর কারণ হলো- সবুজ আলোর ভেতরে লাল রঙের কোন অস্তিত্ব নেই।
উপরের কন্ট্রাস্ট কালার বা পরিপূরক রঙগুলো একটি অপরটির ওপর পড়লে বস্তুটিকে কালো দেখাবে।
জেনে রেখো
আমাদের চোখ ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি রঙ পৃথকভাবে শনাক্ত করতে পারে। তবে কম্পিউটার, ডিভাইস সাধারণত ১৬ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৬০ লক্ষ রঙ পৃথকভাবে শনাক্ত করতে পারে।